শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট থেকে সৃষ্ট ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কজনিত জটিলতা নিরসনে তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস-এর দুই দিনের পাকিস্তান সফরে অভিন্ন স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন ধারার সম্পর্ক গড়ার প্রত্যাশা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
অ্যালিসের সফরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাসের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসে কেবল হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপারে মনোযোগী হতে বলছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের মিত্ররা ধারাবাহিক অভিযোগ করে আসছে, আফগান তালেবান ও তাদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্ককে পাকিস্তানে ‘নিভৃত আবাস’ গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। নতুন বছরের টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে সহায়তা বন্ধের হুমকি দেওয়ার পর ৫ জানুয়ারি নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। তবে এবার মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানকে হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ তার অঞ্চলভুক্ত অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপারে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন’।
ট্রাম্পের টুইট আর নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররাম দস্তগীর খান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দেওয়ার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। গতকাল তিনি পরোক্ষভাবে আফগান যুদ্ধের রসদ সরবরাহে মাশুল ধার্যের পারার ইঙ্গিত দেন। যুক্তরাষ্ট্রকে বেঈমান বলতেও ছাড়েনি দেশটির সেনাবাহিনী। এমন সময় মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর।
হাক্কানি নেটওয়ার্ক, তালেবান ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে পাকিস্তান তহবিল যুগিয়ে যাচ্ছে বলে ক্রমাগত অভিযোগ করে যাওয়ার পরও দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। এবার ট্রাম্পের ঘোষণার পরও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, সহায়তা স্থগিত সাময়িক। আর এটি আপাতত স্থগিত করা হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ধারাবাহিকতাতেই উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস বললেন, সম্পর্কের বদল চায় যুক্তরাষ্ট্র। ডন তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাকিস্তানের কাছে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার ব্যাপারটিকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। জঙ্গিবিরোধী তৎপরতায় দুই দেশের মধ্যে বিশ্বস্ততা প্রতিষ্ঠায় এটিই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন এলিস।