শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে হাজির হতে হয় সাড়ে ৯টার মধ্যে।
এবার ১০টি বোর্ডের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ২৮ হাজার ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা চলছে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে চলছে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) বিষয়ের পরীক্ষা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি ল্যাবরেটরি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান। তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ মার্চ।
সাধারণ আট বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন। এখানে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া দাখিলে পরীক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন। এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে সিটে বসতে হবে। এরপর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না, এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।